পরকীয়া
পরকীয়ার প্রশ্নে ৪ ধরণের মানুষ দেখা যায়।
১. যারা পরকীয়া করে, তাদের কাছে সেটা ভালো লাগে বলেই তারা করে। খারাপ লাগলে তারা পরকীয়া করতো না।
২. যাদের কাছে ভালো লাগেনা, অথবা যাদের কাছে পরকীয়াকে অনৈতিক বলে মনে হয়, তারা পরকীয়া করেনা।
৩. অসংখ্য মানুষ আছে- যারা পরকীয়া করতে চায়, কিন্তু সুযোগের অভাবে করতে পারে না।
৪. আরেক দল আছে- যারা পরকীয়া করে, কিন্তু পরকীয়াকে খারাপ বা অনৈতিক বলে প্রচার করে।
আমি বলতে চাই- পরকীয়া অবশ্যই কারো না কারো দ্বারা তার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা। বিশ্বের অনেক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত বা গণতান্ত্রিক দেশে পরকীয়া এক ধরণের প্রতারণা এবং আইনগতভাবে শাস্তুিযোগ্য অপরাধ, আর অবশ্যই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানোর জন্য একটি কারন। কেউ চাইলে পরকীয়ার অভিযোোগে তার জীবনসঙ্গীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণার মামলা করতে পারেন। কারন, বিয়ে মানেই দুজন মানুষের একসঙ্গে বিশ্বস্ত এবং দায়িত্বশীল থাকার আইনগত চুক্তি। তার সঙ্গে ভালোবাসা, সন্তানের দায়িত্ব এবং সম্পদের অধিকার বিষয়েও সুনিদিষ্ট আইনগত নির্দেশনার উল্লেখ থাকে। আমেরিকার বেশীরভাগ প্রদেশ এবং ইয়োরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে পরকীয়া মানেই আইনের চোখে প্রতারণা। আবার আরব দেশগুলোতে যে আইন শুধুই পুরুষদের পক্ষে।
যারা পরকীয়াকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করছেন, তাদেরকে অনুরোধ করবো- আপনার দেশে অথবা বিশ্বের অন্যান্য সভ্য দেশে বিবাহ এবং পরকীয়া সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট আইন আছে, তা ঘেটে দেখুন।
তবে, স্বামী- স্ত্রী বা জীবনসঙ্গী দুজন দুজনকেই যদি পরকীয়া করার বা বহুগামিতার অনুমতি দিয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্য কেউই প্রতারিত হন না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন